শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

হিজাব কি হিজাব কেন ব্যবহার করব ???

হিজাব কি হিজাব কেন ব্যবহার করব ???
আল্লাহ কোরআনে প্রায় ৪ বার হিজাবের কথা উল্লেখ করেছ
ছোরা নূর ছোরা নং ২৪ আয়াত নং ৩০
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ 
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
(এক দিন দেখলাম এক লোক সে অনেক কন সময তকিয়ে রইল এক মেয়ের দিখে আমি বললাম এই রকম তাকানু হারাম এটা নিষেদ ।সে আমাকে বল্ল মহানবী (সঃ) বলেছেন মেয়েদের দিক দৃষ্টি পড়লে। প্রথম দৃষ্টির পর দিতীয় দৃষ্টি তাকাবে না এখন আমার প্রথম দৃষ্টি পুর্ণ হয়নাই!! পর আমি বল্লাম এ কথার অর্থ এই রকম নয় যেমন তোমি বুঝেছ এই কথার অর্থ এই প্রথম দৃষ্টি ভুল করে পড়লে সাথে সাথে চোখ পিরিয়ে নিবে আর তাকাবে না)
ছোরা নূর ছোরা নং ২৪ আয়াত নং ৩১
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ 
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
ছোরা নূর ছোরা নং ২৪ আয়াত নং ৬০
وَالْقَوَاعِدُ مِنَ النِّسَاء اللَّاتِي لَا يَرْجُونَ نِكَاحًا فَلَيْسَ عَلَيْهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعْنَ ثِيَابَهُنَّ غَيْرَ مُتَبَرِّجَاتٍ بِزِينَةٍ وَأَن يَسْتَعْفِفْنَ خَيْرٌ لَّهُنَّ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ 
বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, যদি তারা তাদের সৌন্দর্যø প্রকাশ না করে তাদের বস্ত্র খুলে রাখে। তাদের জন্যে দোষ নেই, তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
ছোরা আহায়াব ছোরা নং ৩৩ আয়াত নং ৫৯
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا 
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
যারা হিজাব ব্যবহার করে তারা আল্লাহ আদেশ রাসুলের আদেশ বলে মানে
তারা জানে না হিজাব ব্যবহার করলে কি উপকার
এবার আমরা দেখব হিজাব ব্যবহার করলে কি উপকার। 
যে হিজাব ব্যবহার করে না তাকে বলি
আপনি যদি ভাল সু চরিত্রবানদের অন্তরবুক্ত হতে চান তাহলে আপনাকে হিজাব ব্যবহার করতে হবে।
যদি বলেন হিজাব না ব্যবহার করে ভাল হওয়া য়ায না??
আমি বলব না কারণ আপনাকে ভাল থাকতে দিবেনা। 
কারণ হচ্ছে এই রকম
সুন্দরী দুই বোন কোন রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে এক বোন ইসলামিক হিজাব পরা অন্য বোন তৃ পিচ বা মিনি স্কাট পরা দুষ্ট ছেলে বা কুলাংগার মানুষ কার দিকে দেখবে দুষ্টামি করবে, কার সাথে ? 
যে কোন মানুষ উত্তরে বলবে:- যে তৃ পিচ বা মিনি স্কাট পরা থাকে। 
এবং আপনি যদি দুষ্ট ছেলে বা কুলাংগার মানুষের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান,নিজের অনিচ্ছায় নিজেকে নষ্ট না করতে চান, ভাল সু চরিত্রবানদের অন্তরবুক্ত হতে চান তহলে আপনাকে হিজাব ব্যবহার করতেই হবে 
যদি নিজেকে ভাল নারী বা মেয়ে হিসাবে পরিচয় দিতে চান এ জিবন ও পর জিবনে আল্লাহর কাছে
হিজাবের উপকার টা হল এই

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন