শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫

ইয়া আল্লাহ্ মাফ করো

শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)এর উম্মত হওয়া সত্ত্বেওকিয়ামতের মাঠে ১৩ ধরণেরমুসলমানের উপর মহানআল্লাহ তায়ালার সুদৃষ্টিকখনোই পড়বে না। অর্থ্যাৎওই ১৩ ধরণের ব্যক্তি যতইআমল করুক না কেন আল্লাহতায়ালার কাছে তাদের সেইআমলের কোনই মূল্য নেই। যে১৩ ধরণের ব্যক্তির উপরআল্লাহ তায়ালার সুদৃষ্টিপড়বে না তারা হলেন-১। যারা আল্লাহর সাথে কৃতঅঙ্গীকার ও শপথকে সামান্যবিনিময়ে বিক্রয় করেঃআল্লাহ তা’আলা বলেনঃ“নিশ্চয় যারা আল্লাহর সাথেকৃত অঙ্গীকার এবং নিজেদেরশপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয়করে, এরা আখেরাতের কোনঅংশই পাবে না এবং আল্লাহকিয়ামতের দিন তাদের সঙ্গেকথা বলবেন না, তাদের প্রতিদৃষ্টিপাত করবেন না এবংতাদের পবিত্র করবেন না,বস্তুতঃ তাদের জন্য আছেযন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” [আল্ইমরান/৭৭] এই আয়াতে মিথ্যাকসম করা হারাম এর প্রমাণরয়েছে, যা মানুষ সামান্যপর্থিব লাভের জন্যে করেথাকে। উলামাগণ এই কসম কেআল্ ইয়ামীন আল্ গামূস বাডুবানোর কসম আখ্যাদিয়েছেন কারণ; তা এইকসমকারীকে পাপে ডুবায়অতঃপর জাহান্নামে।[আল্লাহই আশ্রয়দাতা]২। গিঁটের (টাখনুর) নিচেবস্ত্র পরিধানকারী।৩। মিথ্যা কসম দিয়ে পণ্যবিক্রয়কারী।৪। কারো উপকার করে তাকেউপকারের খোটা দাতা।গিঁটের নিচে ঝুলিয়ে কাপড়পরিধানকারী হচ্ছে, সেইব্যক্তি যে তার লুঙ্গি ওকাপড় এত ঝুলিয়ে পরে যে তারদুই গিঁটের নিচে চলে যায়। যদিসে অহংকার স্বরূপ এমন করে,তাহলে তার জন্য উপরোক্তশাস্তির ঘোষণা কারণ নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহ তারদিকে তাকাবেন না যে, তারলুঙ্গি অহংকার স্বরূপ ঝুলিয়েপরে”। [বুখারী, নং৫৭৮৩/মুসলিম] আর যে অহংকারস্বরূপ নয় বরং এমনি ঝুলিয়েপরে, তাহলে তার জন্য নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই বাণীপ্রযোজ্যঃ “লুঙ্গির যতটাগিঁটের নিচে থাকবে, ততটাজাহান্নামে যাবে”।[বুখারী,নং৫৭৮৭ ]পর্দার উদ্দেশ্যে মহিলাদেরএক গজ ঝুলিয়ে পরা বৈধকিন্তু এর বেশী করবে না।আর মিথ্যা শপথ করে সামগ্রীবিক্রয়কারী হচ্ছে, এমনব্যক্তি যে মহান আল্লাহকেতুচ্ছকারী। তাই সে (আল্লাহারকসম দিয়ে) মিথ্যার আশ্রয়নিয়ে লোকদের নিকট পণ্যবিক্রি করে।আর খোটাদাতা হচ্ছে, যে দানকরার পর খোটা দেয়।৫। যে মুসাফিরকেপ্রয়োজনের অতিরিক্ত পানিথেকে বাধা দেয়।৬। যে পার্থিব লাভের আশায়কোন মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানেরহাতে বায়আত (অঙ্গীকার)করে।আবু হুরাইরা (রাযিঃ) হতেবর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন, “তিন প্রকারেরলোকের সাথে মহান আল্লাহকিয়ামত দিবসে কথা বলবেননা, না তাদের দিকে তাকাবেনআর না তাদের পবিত্র করবেন;বরং তাদের জন্য রয়েছে শক্তআযাব। ঐ ব্যক্তি যার নিকটর্নিজন প্রান্তরেপ্রয়োজনের অতিরিক্ত পানিথাকা সত্ত্বেও মুসাফিরকে তাব্যবহার করা থেকে নিষেধকরে। আল্লাহ তাকে বলবেনঃআজ আমি তোমাকে আমারঅতিরিক্ত (রহমত) থেকেবঞ্ছিত করবো, যেমন তুমিতোমার বিনা পরিশ্রমেঅর্জিত অতিরিক্ত পানিথেকে বঞ্ছিত কেরেছ এবংসেই ব্যক্তি যে আসরের পরকোন ব্যক্তিকে তার সামগ্রীবিক্রয় করে। আল্লাহর কসমখেয়ে বলে আমি এটা এই এইদামে ক্রয় করেছি। ক্রেতা তারকথা সত্য মনে করে তার কাছথেকে পণ্য খরিদ করে অথচসে সত্য নয়। আর সেই ব্যক্তিযে কোন মুসলিম ইমামের(রাষ্ট্রপরিচালকের) হাতেকেবল পার্থিব উদ্দেশ্যেইবাইআত (অঙ্গীকার) করলো;সে যা চায় যদি তাকে তা দেওয়াহয় তো অঙ্গীকার পূরণ করে,আর না দিলে ভঙ্গ করে।[বুখারী, নং ৭২১২/ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, নং২৯৭]৭। বৃদ্ধ ব্যভিচারী।৮। মিথ্যুক বাদশাহ।৯। অহংকারী দরিদ্র।আবু হুরাইরা (রা) হতে বর্ণিত,নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আল্লাহতাআ’লা কেয়ামত দিবসে তিনশ্রেণীর লোকের সাথে কথাবলবেন না, আর না তাদেরপবিত্র করবেন, না তাদেরদিকে রহমতের দৃষ্টি দিবেন,তাদের জন্য রয়েছেবেদনাদায়ক শাস্তিঃ বৃদ্ধযেনাকারী, মিথ্যুক রাজা এবংঅহংকারী দরিদ্র”। [মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, নং২৯৬]১০। পিতা-মাতার অবাধ্যসন্তান।১১। নারী হয়ে পুরুষের সাদৃশ্যঅবলম্বণকারীনি।১২। দাইযূস।আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাযিঃ)হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃরাসূল সাল্লাল্লাহু আলঅইহিওয়া সাল্লাম বলেনঃ “ তিনপ্রকার লোকের দিকেআল্লাহ তাআ’লা কিয়ামতেরদিনে দৃষ্টিপাত করবেন নাঃপিতা-মাতার অবাধ্য, পুরুষেরসদৃশ অবলম্বনকারীনি মহিলাএবং দাইয়ূস। আর তিন প্রকারলোক জান্নাতে যাবে নাঃপিতা-মাতার অবাধ্য, মদ পানেআসক্ত এবং অনুদানের পরখোটাদাতা” [মুসনাদ আহমদ,নং ৬১১/নাসাঈ]পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তানেরবিষয়টি স্পষ্ট, কারণ আল্লাহতাআ’লা পিতা-মাতারঅধিকারকে মর্যাদা দিয়েছেন,তিনি নিজ অধিকারকে তাদেরঅধিকারের সাথে সংযুক্তকরেছেন এবং তাদের উভয়েরসাথে সদ্ব্যবহার করার আদেশকরেছেন; যদিও তারা কাফেরহয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম বলেনঃ “ পিতা-মাতার সন্তুষ্টিতে আল্লাহরসন্তুষ্টি এবং তাদেরঅসন্তুষ্টিতে আল্লাহরঅসন্তুষ্টি”। [তিরমিযী, নং১৯৬২, আলবানী সহীহবলেছেন]পুরুষের সাদৃশ্যঅবলম্বণকারীনি বলতে সেইমহিলাকে বুঝায় যে, পোষাক-পরিধানে, চাল-চলনে, কাজে-কর্মে এবং কথার শুরে পুরূষেরঅনুকরণ করে। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের সাদৃশ্যঅবলম্বণকারী পুরূষ এবংপুরুষের সাদৃশ্যঅবলম্বণকারীনি মহিলাদেরপ্রতি অভিষাপ করেছেন”।[বুখারী]

ইয়া আল্লাহ্ মাফ করো

"মৃত্যুর পর সেই সব লোকদের জিহবা
আগুনের কাঁচি দিয়ে কাঁটা হবে, 
যারা অন্য কে উপদেশ দেয়,
কিন্তু , সেই উপদেশ নিজেই মানে না ।
_____প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)

আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যার মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট আছে, সে ঈমানের স্বাদ পেয়েছে। 
.
১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল অন্য সব কিছুর চেয়ে তার নিকট অধিক প্রিয়।
.
২. সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যেই কোনো ব্যাক্তিকে ভালোবাসে। 
.
৩. আল্লাহ তাকে কুফরী থেকে মুক্তি দানের পর পুনর্বার কুফরীর মধ্যে ফিরে যেতে সে এতটা অপছন্দ করে যেমন সে আগুনে নিক্ষিপ্ত হতে অপছন্দ করে।।
_ (সহীহ মুসলিম : হাদীস নং ৭৩, অনুচ্ছেদ : ১৬)


"হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করো এবং আমাকে সৎ কর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করো।”
.
__[সূরা ইউসুফ; আয়াতঃ১০১]



জুম্মার ফযীলত সম্পর্কিত হাদিস!!
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকেই বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযু করল, অতঃপর জুম্মা পড়তে এল এবং মনোযোগ সহকারে খুতবাহ শুনল, সে ব্যক্তির এই জুম্মা ও (আগামী) জুম্মার মধ্যেকার এবং অতিরিক্ত আরো তিন দিনের (ছোট) পাপসমূহ মাফ করে দেয়া হল। আর যে ব্যক্তি খুতবাহ চলাকালীন সময়ে কথা বলল (অর্থাৎ, সে জুম্মার সওয়াব বরবাদ করে দিল)।

{মুসলিম ৫৮৭, আবূ দাউদ ১০৫০,ইবনু মাজাহ ১০১০}

জুম্মার নামাজ পড়া নিয়ে একটি সুন্দর হাদীস পড়ুন,
. রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
"জুম'আর সালাতে ৩ ধরনের লোক হাজির হয় ।
১. এক ধরনের লোক আছে,
যারা আল্লাহর
মসজিদে প্রবেশের পর
তামাশা করে,
তারা বিনিময়ে আল্লাহর পক্ষ
থেকে তামাশা ছাড়া কিছুই
পাবে না ।
২. দ্বিতীয় আরেক ধরনের লোক
আছে,
যারা জুমু'আয় হাজির হয়,
সেখানে কিছু
দোয়া মোনাজাত করে,
ফলে আল্লাহ
যাকে চান
তাকে কিছু দেন আর
যাকে ইচ্ছা দেন
না ।
৩. তৃতীয় প্রকার লোক
যারা জুম'আয়
হাজির হয়;
চুপচাপ থাকে,
মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনে,
কারো ঘাড়
ডিঙিয়ে সামনে আগায় না,
কাউকে কষ্ট দেয় না,
তাদের ২ জুম'আর মধ্যবর্তী ৭
দিন সহ আর ও ৩ দিন যোগ
করে মোট ১০ দিনের
গুনাহ আল্লাহ মাফ করে দেন"
[আবু দাউদ]

সূরা আম্বিয়া:24 - তারা কি আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য গ্রহণ করেছে? বলুন, তোমরা তোমাদের প্রমাণ আন। এটাই আমার সঙ্গীদের কথা এবং এটাই আমার পুর্ববর্তীদের কথা। বরং তাদের অধিকাংশই সত্য জানে না; অতএব তারা টালবাহানা করে।

আল্লাহর সাথে শয়তানের কথোপকথনহযরত আনাস ইবনে মালেকের শিষ্য আবু মুহাম্মদ বলেছেন:একদা ইবলিস আল্লাহ কে জিজ্ঞেস করল: হে আমার রব, আদম সন্তানের জন্য বসবাসের ঘর আছে, আমার ঘর কনটি? উত্তরে আল্লাহ বললেন: তোমার ঘর গোসলখানা।শয়তানঃ তাদের জন্য বৈঠক খানা আছে তবে আমার বৈঠক খানা কোথায় ?আল্লাহঃ তোমার বৈঠক খানা বাজার ।শয়তানঃ তাদের তিলওয়াতের জন্য কোরআন আছে আমার জন্য কি ?আল্লাহঃ কবিতা (গান) তোমার তিলওয়া্তের বস্তু ।শয়তানঃ তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের কথাবার্তার সুযোগ দিয়েছেন আমার কথাবার্তা কি ?আল্লাহঃ তোমার কথাবার্তা হল মিথ্যা কথা ।শয়তানঃ তাদের জন্য আজান আছে আমার আজান কি ?আল্লাহঃ তোমার আজান হল বাঁশী ।শয়তানঃ তাদের জন্য রাসূল আছে আমার রাসূল কে ?আল্লাহঃ তোমার রাসূল যাদুকর ।শয়তানঃ তাদের জন্য কিতাব আছে আমার কিতাব আছে, আমার কিতাব কি ?আল্লাহঃ তোমার কিতাব হচ্ছে রেখা ।শয়তানঃ তাদের জাল আছে আমার জাল কি ?আল্লাহঃ তোমার জাল মহিলা ।শয়তানঃ তাদের জন্য খাবার আছে, আমার খাবার কি ?আল্লাহঃ যে খাবারে আমার নাম নেয়া হয়নি সেটা তোমার খাবার ।শয়তানঃ তাদের পানীয়ের ব্যবস্থা আছে আমার পানীয় কি ?আল্লাহঃ প্রত্যেক নেশা জাতীয় তরল পদার্থ ।পোষ্ট ভাল হলে share করে সবাইকে জানিয়ে দিন >

ইসলামের কিছু অজানা তথ্য...১। যে কাজ করলে স্মরন শক্তি বৃদ্ধি পায় সেটা নিশ্চয়ই অধিক রোজা।২। মানুষ যে কাজে শয়তান হয় , নামাজ ত্যাগ করলে এবং মিথ্যা কছম খেলে৩। যে কাজে শিশুর ন্যায় নিশ্পাপ হয়, রমজানের রোজা রেখে ইদের নামাজ পড়লে ।৪। ৮ই জিলহজ্ব এর রোজা১২হাজার বছরের রোজার সমান ।৫। জিলহজ্বের ১লা তারিখে ১টি রোজা মানে ২০০ বছর জেহাদের সমান।৬। সর্বপথম দোযোখে যাবেন কাবীল। তার ভাই হাবিলকে হত্যা করার কারনে।৭। সর্বপ্রথম বেহেস্তে যাবেন , হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)৮। বেহেস্তের সর্বপ্রথম খাদ্যমাছের কলিজা ।৯। মেছওয়াক করলে মৃত্যুকালে কালেমা নসীব হয় ।১০। রাসুল সাঃ এর জানাজা পড়ানত্রিশ হাজার মুসলমান১১। মানুষের শরীরে পশম থাকে একলক্ষ চব্বিশ হাজার ।জোড়া ৭০টি রগ ৩৬০ টি।১২। বেহেস্তের চাবি নামাজ , নামাজের চাবি অযু এবং অযুর চাবি বিসমিল্লাহ বলা ।১৩। ইমানের সাতাত্তরটি শাখা, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু বলা সর্বোত্তম এবংনিম্ন শাখা রাস্তাগাট হতে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো১৪। অত্যাধিক হাসিতে মেতে থাকলে এবং নারিদের নিকট অবস্থান করলে মানুষের দিল মরেযাই

আসসালামু আলাইকুম ভাই,
বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম।
“স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” (সূরা আল মায়িদা: ৫)
এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।
৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।
সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে।
যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম।
জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। (সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২) (সূরা ফুরকানঃ ৬৮)
জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ।
বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।
বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়।
কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালভাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালভাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। (সূরা বাকারাঃ১৬৫)
আমি আয়াতগুলো পুরোপুরি তুলে দেয়নি যাতে করে আপনি নিজে আয়াতগুলো সেই সাথে সূরা গুলো পড়ে নেন।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনদের এই হারাম কাজ থেক হিফাজত করুন। আমীন।

মানুষ

যে ভুল করে, সে "মানুষ"
যে ভুলের উপর স্থির থাকে, সে
"শয়তান" আর যে ভুল করার পর আল্লাহর
কাছে ক্ষমা চায় সে "মুমিন"।'
===== বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ {সঃ}

আল্লাহ বলেছেনঃ- আমি জান্নাত কে লুকিয়ে
রেখেছি দুঃখ কষ্টের ভিতর, আর জাহান্নাম কে
লুকিয়ে রেখেছি দুনিয়ার ধন সম্পদ, হাসি- খুসির ভিতর।”
___বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)


"পাপের কাজ করে লজ্জিত
হলে, পাপ কমে যায়.
আর পূণ্য কাজ করে গর্ববোধ
করলে পূণ্য বরবাদ হয়ে যায়
_____হযরত আলী (রাঃ)

“সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ লোক হল সেই, যার হৃদয়
হল পরিস্কার এবং জিভ হল সত্যবাদী।”
_____বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ)


মূর্খের সম্মুখে এমন বিদ্যার কথা বলিও
না যাহা সে না বুঝে। কেননা এমনটা
বলিলে সে তোমাকে মূর্খ ও মিথ্যাবাদী
ভাববে!!! ------হযরত আলী (রাঃ)


"যদি জান্নাতী রমনীদের মধ্যে থেকে
কোন রমনী পৃথিবীতে উঁকি দিত
তাহলে পূর্ব থেকে পশ্চিমের মাঝে যা কিছু
আছে সব আলোক উজ্জ্বল হয়ে যেত ।"
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)








হিজাব কি হিজাব কেন ব্যবহার করব ???

হিজাব কি হিজাব কেন ব্যবহার করব ???
আল্লাহ কোরআনে প্রায় ৪ বার হিজাবের কথা উল্লেখ করেছ
ছোরা নূর ছোরা নং ২৪ আয়াত নং ৩০
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ 
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
(এক দিন দেখলাম এক লোক সে অনেক কন সময তকিয়ে রইল এক মেয়ের দিখে আমি বললাম এই রকম তাকানু হারাম এটা নিষেদ ।সে আমাকে বল্ল মহানবী (সঃ) বলেছেন মেয়েদের দিক দৃষ্টি পড়লে। প্রথম দৃষ্টির পর দিতীয় দৃষ্টি তাকাবে না এখন আমার প্রথম দৃষ্টি পুর্ণ হয়নাই!! পর আমি বল্লাম এ কথার অর্থ এই রকম নয় যেমন তোমি বুঝেছ এই কথার অর্থ এই প্রথম দৃষ্টি ভুল করে পড়লে সাথে সাথে চোখ পিরিয়ে নিবে আর তাকাবে না)
ছোরা নূর ছোরা নং ২৪ আয়াত নং ৩১
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ 
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
ছোরা নূর ছোরা নং ২৪ আয়াত নং ৬০
وَالْقَوَاعِدُ مِنَ النِّسَاء اللَّاتِي لَا يَرْجُونَ نِكَاحًا فَلَيْسَ عَلَيْهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعْنَ ثِيَابَهُنَّ غَيْرَ مُتَبَرِّجَاتٍ بِزِينَةٍ وَأَن يَسْتَعْفِفْنَ خَيْرٌ لَّهُنَّ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ 
বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, যদি তারা তাদের সৌন্দর্যø প্রকাশ না করে তাদের বস্ত্র খুলে রাখে। তাদের জন্যে দোষ নেই, তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
ছোরা আহায়াব ছোরা নং ৩৩ আয়াত নং ৫৯
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا 
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
যারা হিজাব ব্যবহার করে তারা আল্লাহ আদেশ রাসুলের আদেশ বলে মানে
তারা জানে না হিজাব ব্যবহার করলে কি উপকার
এবার আমরা দেখব হিজাব ব্যবহার করলে কি উপকার। 
যে হিজাব ব্যবহার করে না তাকে বলি
আপনি যদি ভাল সু চরিত্রবানদের অন্তরবুক্ত হতে চান তাহলে আপনাকে হিজাব ব্যবহার করতে হবে।
যদি বলেন হিজাব না ব্যবহার করে ভাল হওয়া য়ায না??
আমি বলব না কারণ আপনাকে ভাল থাকতে দিবেনা। 
কারণ হচ্ছে এই রকম
সুন্দরী দুই বোন কোন রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে এক বোন ইসলামিক হিজাব পরা অন্য বোন তৃ পিচ বা মিনি স্কাট পরা দুষ্ট ছেলে বা কুলাংগার মানুষ কার দিকে দেখবে দুষ্টামি করবে, কার সাথে ? 
যে কোন মানুষ উত্তরে বলবে:- যে তৃ পিচ বা মিনি স্কাট পরা থাকে। 
এবং আপনি যদি দুষ্ট ছেলে বা কুলাংগার মানুষের হাত থেকে রক্ষা পেতে চান,নিজের অনিচ্ছায় নিজেকে নষ্ট না করতে চান, ভাল সু চরিত্রবানদের অন্তরবুক্ত হতে চান তহলে আপনাকে হিজাব ব্যবহার করতেই হবে 
যদি নিজেকে ভাল নারী বা মেয়ে হিসাবে পরিচয় দিতে চান এ জিবন ও পর জিবনে আল্লাহর কাছে
হিজাবের উপকার টা হল এই

লজ্জা

একজন নারীর সর্বশ্রেষ্ঠ
গহনা হল তার লজ্জাঃ
লজ্জাবতী মেয়েরা কোন দিন, শার্ট
প্যান্ট পরতে পারেনা। রাস্তায় চলার
পথে ছেলেরা দেখে পাগল হবে, সেই
ধরনের পোষাক, বা সাজ সজ্জা করতে
পারেনা। আবার বোরকা পরে মুখ
খোলা রেখে বোরকা নামের ফ্যাশনও
সে করতে পারে না। ইসলাম মেয়েদের


সাজ সজ্জা করতে নিষেধ করে নাই,
তবে সেটা হবে পর্দার আরালে, একটি
মেয়ের সাজ সজ্জা শুধু তার স্বামীর
জন্য।
সাগর বা নদীতে যখন জোয়ার উঠে,
তখন দুকূল ছাপিয়ে সে নিজেকে
ভাসিয়ে দেয়!
নেই বাধা আছে তার উচ্ছলতা!
তবুও যখন ভাটা পড়ে
তখন তার শরীরে থাকেনা কোন ঢেউ,
জোয়ার হারিয়ে সে এখন নিরব নিথর!
তেমনি হে আবেদনময়ী কমনীয় যুবতী,
তোমার এ আকর্ষণীয় দেহ দিয়ে তুমি
যেকোন যুবক পুরুষের মনে শিহরণ
জাগাতে পার! একদিন তোমার বয়স
হবে, তোমার সকল রুপ ভাটা পরা নদীর
নেয় হারিয়ে যাবে। তখন তোমার কি
হবে ভেবে দেখেছ?
মনে রেখো, একজন প্রকৃত পর্দা
কারিণী
নারী যেন ঝিনুকের ভেতর সুরক্ষিত
একটি মুক্তোর মত। সুতরাং আপুরা
চলে
আসো ইসলামের ছায়া তলে, ফ্যাসন
ওলা বোরকা পরা বাদ দিয়ে সঠিক
ভাবে বোরকা পরিও, জাহান্নামের
ভয়ে বোরকা পরিও, আল্লাহর ভয়ে
বোরকা পরিও। আল্লাহ আমাদের
সবাইকে তার পথে পরিপূর্ণভাবে চলার
তৌফিক দাণ করুক। আমিন...। —