রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

অন্ধকার ঐ কবরে

মনে করুন, আপনি এখন
মারা গেছেন।
আপনার প্রিয়জন সবাই আপনার
লাশের
পাশে বসে কাঁদছে।
কিছু লোক গিয়েছে আপনার কবর
তৈরি করতে।
কিছু লোক গিয়েছে কাফনের
কাপড় আনতে।
কিছু লোক লাশকে ঘর
থেকে বের করে আনছে।
কেউ গিয়েছে গরম পানি করতে।
এবার আপনার লাশটাকে গোসল
করাচ্ছে কিছু লোক।
এবার লাশকে কাফনের কাপর
পরাচ্ছে।
এখন খাটিয়ার উপর
আপনার লাশটাকে রাখা হলো।
চারজন লোক খাটিয়া উচু
করলো এবং জানাযার
মাঠে নিয়ে গেল।
জানাযা শেষে এবার কবরের
দিকে নিয়ে গেল।
এবার কিছু লোক
কবরে নামলো এবং আপনার লাশ
কবরে রাখল।
এরপর বাঁশের চালি দিল।
এবার মাটি দিয়ে সবাই
চলে গেল।
চোখটা বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন
অন্ধকার ঐ
কবরে আপনি একা।
এটাই চিরন্তন সত্য।
ইয়া আল্লহ আমাদের
সবাইকে মৃত্যুর
কথা চিন্তা করে বেশি বেশি নেক
আমল করার তৌফিক দান করুন।
~(''আমিন'')~

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

Safa Marowa Hajj Travels


বেপর্দা যুবতী মেয়েদের



বেপর্দা যুবতী মেয়েদের সম্পর্কে এই পোষ্ট লিখা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ সবাই শেয়ার করে বেপর্দা মেয়েদের জানিয়ে দিবেন
.
পৃথিবীতে যেসব জিনিস মূল্যবান তা সহজে দেখা যায় না, বের করা যায় না এবং পাওয়া যায় না।
১/ তোমরা কি জানো স্বর্ণ কোথায় থাকে ? মাটির অনেক গভীরে খনির ভেতর, প্রস্তরের কয়েক টি লেয়ারের নিচে।
২/ তোমরা কি জানো হিরা কোথায় থাকে ? মাটির অনেক গভীরে এবং অনেক ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে খনন করে বের করতে হয়।
৩/ তোমরা কি জানো মুক্তা কোথায় থাকে ? সমুদ্রের তলদেশে এবং তা চমৎকার একটা ঝিনুক শেলের মধ্যে রক্ষিত অবস্থায় থাকে ।
.
তোমাদের দেহ স্বর্ণ, হিরা, মুক্তা তার চেয়েও বেশি মূল্যবান তোমাদেরও তা মানুষের নাগালের বাইরে রাখা উচিৎ ।
.
সে আরো বললো তোমরা যদি ঠিক স্বর্ণ, হিরা, মুক্তার মতো মাইনিং ট্রেজার হিসাবে কভারড আপ করে রাখো তাহলে অনেক বড় বড় মানিং কম্পানি (ভালো ছেলে ও তার পরিবার) তাদের ভারি ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে সরকারের ( তোমাদের পরিবার ) কাছে ঘুরে ঘুরে চুক্তিতে সাইন করবে (বিবাহ)।
.
কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের মূল্যবান সম্পদকে পৃথিবী পৃষ্ঠে ছুড়ে ফেলো কিংবা যত্ন করে না রাখো তাহলে অনেক অবৈধ কম্পানি কে আকর্ষণ করবে এবং তারা এসে তাদের ধারালো যন্ত্রপাতি দিয়ে ফ্রি ফ্রি ছুটিয়ে ছুটিয়ে নিয়ে যাবে, যোগ্য না হয়েও তা ভোগ করবে এবং তোমরা তোমাদের সম্পদের কোনো মূল্য পাবে না। নিজেকে মাইনিং ট্রেজার করে রাখলে প্রফেশনাল মাইনিং কম্পানি প্রকৃত মূল্য দিয়ে তোমার সরকারের কছে চুক্তিতে সাইন করবে এবং যথার্থ মূল্য ও সম্মান পাবে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৫

ইসলামে কন্যা সন্তান হওয়ার অসংখ্য ফজিলত


আমাদের প্রচলিত শিক্ষিত সমাজে এখনও অনেক পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম হওয়াকে ভাল চোখে দেখা হয় না। অনেকে আবার মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারলে কন্যা সন্তান মন থেকে খুশী হতে পারেন না বা মেনে নিতে পারেন না। আশাকরি আজ তাদের ভূল ভাঙ্গাতে পারব।
কন্যা সন্তান হওয়ার অসংখ্য ফজিলতের মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে –
আল্লাহ তা‘আলা তাদের সমালোচনা করেছেন পবিত্র কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে :
﴿وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِٱلۡأُنثَىٰ ظَلَّ وَجۡهُهُۥ مُسۡوَدّٗا وَهُوَ كَظِيمٞ ٥٨ يَتَوَٰرَىٰ مِنَ ٱلۡقَوۡمِ مِن سُوٓءِ مَا بُشِّرَ بِهِۦٓۚ أَيُمۡسِكُهُۥ عَلَىٰ هُونٍ أَمۡ يَدُسُّهُۥ فِي ٱلتُّرَابِۗ أَلَا سَآءَ مَا يَحۡكُمُونَ ٥٩﴾ [النحل:58-59]
‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওমের থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!’ {সূরা আন-নাহল : ৫৮-৫৯}
عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ ﷺ، قَالَ: «مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْن حَتَّى تَبْلُغَا جَاءَ يَوْمَ القِيَامَةِ أنَا وَهُوَ كَهَاتَيْنِ»وضَمَّ أصَابِعَهُ . رواه مسلم
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি দু’টি কন্যার লালন-পালন তাদের সাবালিকা হওয়া অবধি করবে কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু’টি আঙ্গুলের মত পাশাপাশি আসব।’’(অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি মিলিত করে (দেখালেন)। [মুসলিম ২৬৩১, তিরমিযি ১৯১৪, আহমদ ১২০৮৯]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করনে, যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করল,অতঃপর সে ঐ কন্যাকে কস্ঠ্ও দেয়নি,তার উপর অসন্তুস্ঠ্ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রধান্য দেয়নি,তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন।(মুসনাদে আহমদ ১;২২৩)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَإِن كَرِهۡتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكۡرَهُواْ شَيۡ‍ٔٗا وَيَجۡعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيۡرٗا كَثِيرٗا ١٩ ﴾ [النس:]
‘আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রাখবেন।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৯}
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,”কন্যা সন্তান হল উত্তম সন্তান। কেননা,তারা হচ্ছে
অধিক গুনের অধিকারিনী বিনম্র ও মিস্ঠভাষী । এছাড়া তারা পিতা-মাতার সেবা শুশ্রষার জন্য সদাসর্বদা প্রস্তুত থাকে এবং তারা মায়া মমতাকারীনী,স্নেহময়ী,বিনয়ী ও বরকতময়ী।”(ফিরদাউস ৪;২৫৫)
আর প্রথম সন্তান মেয়ে হ্ওয়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল,
হযরত আব্দুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,ঐ মহিলা বরকতময়ী ও সৌবাগ্যশালী,যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়।কেননা,(সন্তানদানের নিয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে )আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন,তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।”(কানযুল উম্মাহ ১৬:৬১১)

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

ফজিলত

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, গরিব মুহাজিরগণ রাসূলের নিকট এসে বলে: সম্পদশালীরা তো তাদের সম্পদের মাধ্যমে মহান মর্যদা ও জান্নাতের মালিক হয়ে যাচ্ছে, তিনি বললেন: “কিভাবে?”
তারা বলল: আমরা যেরূপ সালাত আদায় করি, তারাও সেরূপ সালাত আদায় করে, আমরা যেরূপ সিয়াম পালন করি, তারাও সেরূপ সিয়াম পালন করে, তাদের অতিরিক্ত ফজিলত হচ্ছে তারা তাদের সম্পদ দ্বারা হজ করে, ওমরা করে, জিহাদ করে ও সদকা করে।
তিনি বললেন: “আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দেব, যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের নাগাল পাবে ও পরবর্তীদের অতিক্রম করে যাবে, তোমাদের চেয়ে উত্তম কেউ হবে না, তবে যারা তোমাদের ন্যায় আমল করে তারা ব্যতীত?”
তারা বলল: অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল, তিনি বললেন: “তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩বার তাসবিহ, ৩৩বার তাকবির ও ৩৩বার তাহমিদ পড়বে”। গরিব মুহাজিরগণ ফিরে এসে বলে, আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা আমাদের আমল জেনে তারাও অনুরূপ আমল আরম্ভ করেছে, তিনি বললেন: “এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন”।
বুখারি: (৮৪৩), মুসলিম: (৫৯৫)

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫

আপনার

আপনি কি আপনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে রাত কাটিয়ে নিজেকে খুব গর্বিত
মনে করছেন? 
অথবা আপনার গার্লফ্রেন্ডের সাথে রাত কাটাবেন বলে প্ল্যান করছেন?
অথবা গার্লফ্রেন্ডকে কোন হোটেল বা বাসায় নিয়ে দুজন নির্জনে কিছু রোমাঞ্চকর মুহূর্ত
কাটাবেন এবং জৈবিক চাহিদা মিটাবেন বলে ভাবছেন?
তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। ইসলাম সহ পৃথিবীর কোন ধর্মে ই অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক
সমর্থন করে না - জেনেনিন অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে ইসলাম কি বলে? অনেকেই দেখি, গার্লফ্রেন্ডের
সাথে রাত কাটিয়ে এসে, বন্ধুদের সাথে রাতে কি করেছে না করেছে তা নিয়ে হাঁসি ঠাট্টা করে। আমি তাদেরকে বলবো, ভাই আপনি এক রাতে আর কি মজা পাইছেন, আপনার আসল মজাতো মৃত্যুর পরে পাবেন। যখন ফেরেস্তারা আপনার লিঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে জাহান্নামের আগুনে ঝুলিয়ে লোহার ডান্ডা দিয়ে পিটাবে, আর আপনি চিৎকার করতে থাকবেন......।। আপনি এই মজার জন্য অপেক্ষা করতে থাকুন
যদি তওবা না করে থাকেন। কিতাবে বর্ণিত আছে, ব্যভিচারী নারী-পুরুষের লিংগ রশি দ্বারা বেঁধে জাহান্নামের আগুনে ঝুলানো হবে এবং লোহার ডান্ডা দিয়ে তাদের জননেন্দ্রিয়ে আঘাত করা হবে।
আঘাতের যন্ত্রণায় যখন চিৎকার করবে,তখন জাহান্নামের ফেরেশতারা বলবে; পৃথিবীতে যখন
তোমরা আনন্দ ফুর্তি করতে, হাসতে এবং আল্লাহর কথা স্মরণ করতে না এবং তাঁকে লজ্জা পেতে না,
তখন এ চিৎকার কোথায় ছিল”?
ইসলামে যেনার কোনো স্থান নেই। মৃত্যুর পর যেনাকারী উলংগ অবস্থায় কেয়ামত পর্যন্ত আগুনে জ্বলবে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যেনাকার ও যেনাকারীনি কেয়ামত পর্যন্ত উলঙ্গ অবস্থায়
আগুনে জ্বলতে থাকবে। [ বুখারী, মিশকাতঃ ৪৬২১] সুতরাং ভেবে দেখুন, সময় থাকতেই সাবধান
হয়ে জান। এসব গার্লফ্রেন্ড মালফ্রেন্ড বাদ দিয়ে, আল্লাহর কাছে তওবা করে, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করুন। Otherwise মৃত্যুর পর কান্নাকাটি করে কোন লাভ হবে না।
যা কান্নাকাটি করার এখনই করে নিন। আস্তাগফিরুল্লাহ । আস্তাগফিরুল্লাহ । আস্তাগফিরুল্লাহ
। আল্লাহ, আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। আমিন।

সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০১৫

প্রশ্ন? উত্তর

সহীহ বুখারী : বিয়ে অধ্যায় ৫০৬৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন জনের একটি দল নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর ‘ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের বাড়িতে আসল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে জানানো হলো, তখন তারা ‘ইবাদাতের পরিমাণ কম মনে করল এবং বলল, নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আমাদের তুলনা হতে পারে না। কারণ, তাঁর আগের ও পরের সকল গুনাহ্ ক্ষমা ক’রে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতভর সালাত আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সব সময় সওম পালন করব এবং কক্ষনো বাদ দিব না। অপরজন বলল, আমি নারী সংসর্গ ত্যাগ করব, কখনও বিয়ে করব না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, ‘‘তোমরা কি ঐ সব লোক যারা এমন এমন কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহ্কে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশিঅনুগত; অথচ আমি সওম পালন করি, আবার তা থেকে বিরতও থাকি। সালাত আদায় করি এবং নিদ্রা যাই ও মেয়েদেরকে বিয়েও করি। [1] সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।[2] [মুসলিম ১৬/১, হাঃ ১৪০১, আহমাদ ১৩৫৩৪]
নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) অধিকাংশ মাটির উপরই সিজদাহ করতেন। কারণ, তাঁর মসজিদের মেঝেই ছিল মাটির। না ছিল তা পলস্তরা করা। আর না ছিল চাটাই, চট বা গালিচা বিছানো। ঐ মসজিদের ছাদও ছিল খেজুর ডালের। বৃষ্টির সময় কখনো কখনো ছাদ বেয়ে মসজিদের ভিতরে পানি পড়ত। এক রমযানের ২১ তারীখের রাতে তিনি পানি ও কাদাতেই সিজদাহ করেছিলেন। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাঃ) এর কপাল ও নাকে পানি ও কাদার চিহ্ন আমার উভয় চক্ষু প্রত্যক্ষ করেছে।’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ২০৮৬ নং)
পক্ষান্তরে তিনি কখনো কখনো চাটাই-এর উপরেও নামায পড়েছেন, কখনো সিজদাহ করেছেন (সিজদার জন্য চেহারা রাখার মত) ছোট চাটাই-এর উপর। (বুখারী ৩৮০, ৩৮১নং, মুসলিম, সহীহ)




প্রশ্ন : মৃত্যুবরণ করার পর মানুষের কোন আমল কি জারী থাকে?
উত্তর: রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার সমস্ত আমল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কেবল তিনটি আমল ব্যতীত। (১) ছাদাক্বায়ে জারিয়াহ। (যেমন মসজিদ, মাদরাসা, ইয়াতীমখানা, রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণ, অনাবাদী জমিকে আবাদকরণ, সুপেয় পানির ব্যবস্থাকরণ, দাতব্য চিকিৎসালয় ও হাসপাতাল স্থাপন বই ক্রয় করে বা ছাপিয়ে বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি)। (২) ইলম, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয়। (যা মানুষকে নির্ভেজাল তাওহীদ ও ছহীহ সুন্নাহর পথ দেখায় এবং যাবতীয় শিরক ও বিদ‘আত হ’তে বিরত রাখে। উক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শিক্ষাদান করা, ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে সহযোগিতা প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, বিশুদ্ধ আক্বীদা ও আমল সম্পন্ন বই-প্রবন্ধ লেখা, ছাপানো ও বিতরণ করা এবং এজন্য অন্যান্য স্থায়ী প্রচার মাধ্যম স্থাপন ও পরিচালনা করা ইত্যাদি)। (৩) সুসন্তান, যে তার জন্য দো‘আ করে’। (মৃতের জন্য সর্বোত্তম হাদিয়া হ’ল সুসন্তান, যে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, ছাদাক্বা করে, তার পক্ষ হ’তে হজ্জ করে ইত্যাদি)। (মুসলিম হা/১৬৩১, মিশকাত হা/২০৩)।
অন্য বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘মৃত্যুর পর কবরে থাকা অবস্থায় বান্দার সাতটি আমল জারী থাকে। (১) দ্বীনী ইলম শিক্ষা দান করা (২) নদী-নালা প্রবাহিত করা (৩) কূপ খনন করা (৪) খেজুর তথা ফলবান বৃক্ষ রোপণ করা (৫) মসজিদ নির্মাণ করা (৬) কুরআন বিতরণ করা (৭) এমন সন্তান রেখে যাওয়া, যে পিতার মৃত্যুর পর তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে’ (মুসনাদ বাযযার হা/৭২৮৯; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৬০২)। এটি পূর্বের হাদীছের ব্যাখ্যা স্বরূপ।







ছোট্ট শিশুর কপালের এক পাশে কালো টিপ

প্রশ্নঃ আমাদের দেশে দেখা যায় অনেক বাবা-মা তাদের ছোট্ট শিশুর কপালের এক পাশে কালো টিপ দিয়ে থাকেন যাতে শিশুর উপর কারো বদনজর না লাগে। এই টিপ দেওয়া কি শিরক?
উত্তরঃ হ্যাঁ এই কাজটা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ এই কালো টিপের কোন ক্ষমতা নেই যে শিশুটিকে মন্দ থেকে বাচিয়ে রাখে। আর শিরক করলে সব আমল আল্লাহ নষ্ট করে দিবেন। শিরকের পরিণাম জাহান্নাম।
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলঃ সকল প্রকার বালা-মুছিবত থেকে বেঁচে থাকা এবং যাবতীয় উদ্দেশ্য পূরণের জন্য সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল আল্লাহর প্রতি ভরসা। আল্লাহ্ বলেন,
(وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلىَ اللهِ فَهُوَ حَسْبُهُ)
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করবে, আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট হবে।” (সূরা ত্বালাক- ৩)
বদ নজর থেকে বাচার জন্য রাসুল (সাঃ) দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন সেই দোয়া পড়ে বাচ্চার গায়ে ফুক দিলে আল্লাহ এই বাচ্চাকে মন্দ থেকে নিরাপদ রাখবেন। দোয়াটি হলো নিম্নরূপঃ
(১) শিশুদেরকে ঝাড়-ফুঁক করা। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) হাসান ও হুসাইন (রাঃ)কে ঝাড়-ফুঁক করতেন। তিনি বলতেন,
أُعِيْذُكُماَ بِكَلِماَتِ اللهِ التاَّمَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطاَنٍ وَهاَمَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
“আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণী সমূহের মাধ্যমে আমি তোমাদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি সকল প্রকার শয়তান থেকে, বিষধর প্রাণীর অনিষ্ট থেকে এবং সকল প্রকার বদ নযর থেকে।” (বুখারী)
২) আল্লাহর নির্দেশের বাস্তবায়ন ও নিষেধ থেকে দূরে থাকাঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর আদেশ নিষেধের হেফাযত করবে, সে অনুযায়ী চলবে আল্লাহ্ তাকে দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার, সম্পদ সর্বদিক থেকে হেফাযত করবেন। রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেন,“তুমি আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চল আল্লাহ্ তোমাকে হেফাযত করবেন।” (তিরমিযী)
৩) অধিকহারে আল্লাহর যিকির করাঃ যেমন- কুরআন তেলাওয়াত, সুবহানাল্লাহ্, আল হামদুলিল্লাহ্, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি বেশী বেশী বলা, অধিকহারে ইস্তেগফার করা, নবী (ছাঃ)এর উপর বেশী করে দরূদ পাঠ… ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে বান্দা নিজেকে সুরক্ষিত করতে পারে।
নির্দিষ্টভাবে যে সকল দু’আ কালামের মাধ্যমে যাদু, বান, টোনা, বদ নযর, জ্বিন, শয়তান ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নিম্নরূপঃ
ক) নিদ্রা যাওয়ার আগে আয়াতাল কুরসী (সূরা বাক্বারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা। যে ব্যক্তি রাতে তা পাঠ করে, তার জন্য সকাল পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন হেফাযতকারী ফেরেশতা নিয়োগ থাকে, ফলে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে পারে না। (ছহীহ বুখারী)
খ) সূরা বাক্বারা পাঠ করা। যে গৃহে এই সূরা পাঠ করা হয় সেখান থেকে শয়তান পলায়ন করে। (মুসলিম)
গ) সূরা বাক্বারার শেষের দু’আয়াত পাঠ করা। যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাক্বারার শেষের দুটি আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটিই যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ- সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে। (ছহীহ বুখারী)
ঘ) সকাল-সন্ধার নির্ধারিত দু’আ সমূহ পাঠ করা। গৃহে প্রবেশ, গৃহ থেকে বের হওয়া, সোওয়ারীতে আরোহণ করা প্রভৃতি সময়ে নির্দিষ্ট দু’আ পাঠ করা।
চ) সূর্যাস্তের সময় শিশুদেরকে বাড়ীর বাইরে যেতে বাধা দেয়া। নবী (ছাঃ) বলেন, “যখন সন্ধা হয় তখন তোমাদের শিশুদেরকে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত রাখ। কেননা এই সময়ে শয়তানের দল বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। যখন রাতের একটি প্রহর অতিবাহিত হবে তখন (শিশুদেরকে) ছেড়ে দিতে বাধা নেই।” (বুখারী ও মুসলিম)

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৫

সন্তান জন্মের পর করণীয় – নিজে জানুন অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।

সন্তান জন্মের পর করণীয় – নিজে জানুন অন্যকেও জানতে সাহায্য করুন।
সন্তান মহান আল্লাহ পাক উনার দেওয়া নেয়ামতের মধ্যে দামি একটা নিয়ামত আর সন্তান জন্মগ্রহণের সাথে পবিত্র আক্বিকা ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারন এটা মুস্তাহাব এবং সুন্নতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এবার আসুন আক্বিকা সম্পর্কে সামান্য ধারনা নেই।
১-সন্তান জন্ম নেবার পর পিতা-মাতার উপর কর্তব্য হল তাকে প্রথমেই ভাল করে গোসল দিবে। প্রথমে লবন পানি দিয়ে তারপর পরিষ্কার এবং পবিত্র পানি দিয়ে, তাহলে ফোড়া, গোটা ইত্যাদি অনেক রোগ থেকে শিশু মুক্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ। শরীরে বেশি ময়লা থাকলে কয়েকদিন পর্যন্ত লবন পানি দিয়ে গোসল করাবে, ময়লা বেশি না হলে শুধু পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত পানি দিয়ে গোসল করাবে। যদি বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে গোসল দেয়া আবশ্যক নয়। তবে যৌক্তিক কোন কারণ না থাকলে ময়লাসহ রাখা উচিত নয়। কারণ ময়লা ও নাপাক ব্যক্তির কাছে ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা আসেন না।
২-ভেজা কাপড় দিয়ে শিশুর নাক, কান, গলা, মাথা ভালভাবে পরিস্কার করবে। অপরিচ্ছন্নতা থেকে শিশুর বহু রোগ জন্ম নেয় বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা সবসময় তাই বলেন।
৩-সম্ভব হলে শিশুকে প্রথম দুধ পান করানোর আগে কোন বুযুর্গ ব্যক্তির কাছে নিয়ে সামান্য খেজুর চিবিয়ে শিশুর মুখে দিবে। এটাকেই তাহনীক বলে। এটা করা মুস্তাহাব। যদি বুযুর্গ ব্যক্তি না পাওয়া যায়, তাহলে তুলনামূলক ভাল ও উত্তম ব্যক্তি দিয়ে তাহনীক করানো যাবে। কাউকেই না পেলে নিজেরাই করে নিবে বিসমিল্লাহ বলে।
৪-জন্ম নেবার পর শিশুর ডান কানে পবিত্র আজান ও বাম কানে পবিত্র ইকামত দিবে মৃদু আওয়াজে।
৫-শিশু জন্ম নেবার সাত দিনের মাথায় মাথার চুল ফেলে চুল পরিমাপ করে সে ওজন পরিমাণ স্বর্ণ বা রোপা বা তার মূল্য দান করা এবং সুন্নতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
৬-সন্তান জন্ম নেবার পর সপ্তম দিন ছেলে হলে দু’টি বকরী বা গরু-মহিষের ৭ ভাগের দুই ভাগ, আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা গরু-মহীষের ৭ ভাগের একভাগ আক্বিকা হিসেবে জবাই করা এ মুস্তাহাব এবং সুন্নতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আক্বিকার পশুর হাড্ডি ভাঙ্গবে না। আত্বীয় স্বজনকে গোস্ত খাওয়াবে, এবং গরীব দুঃখীদেরও খাওয়াবে। নিজেরাও খাবে। সেই সাথে ছেলেটির সুন্দর নামও রাখাও মুস্তাহাব এবং সুন্নতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐদিনে।
৭ দিনের মাথায় আক্বিকা দিতে না পারলে ১৪ দিনের মাথায়, না হলে ২১ দিনের মাথায় আক্বিকা দিবে। অথবা বালেগ হওয়ার আগে যেকোন সময় জন্মের সাত দিন হিসেব করে সাত দিনের মাথায় আক্বিকা দেয়া উত্তম। জরুরী নয়। কুরবানীর সাথেও আক্বিকা দেয়া যায় তবে আলদা করাই ভালো।
বাচ্চা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলে আক্বিকার প্রয়োজনীয়তা আর বাকি থাকে না। তাই নাবালেগ থাকা অবস্থায় আক্বিকা দেয়াই সর্বোত্তম। আক্বিকা দেয়া যদিও ফরজ কোন বিষয় নয়, কিন্তু মুস্তাহাব এবং সুন্নতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আক্বিকার দলিল সমূহঃ-
عن حسين قال : قال رسول الله – صلى الله عليه و سلم – : من ولد له فأذن في أذنه اليمنى وأقام في أذنه اليسرى
হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিতঃ নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, যার সন্তান হয়, সে যেন তার ডান কানে পবিত্র আজান এবং বাম কানে পবিত্র ইকামত দেয়। {শুয়াবুল ঈমান শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৮৬১৯, মুসনাদে আবী ইয়ালা শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৬৭৮০, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৭৯৮৫}
عن أبى موسى قال ولد لى غلام فأتيت به النبى -صلى الله عليه وسلم- فسماه إبراهيم وحنكه بتمرة
হযরত আবু মুসা আশআরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্নিত তিনি বলেন, আমার একটি ছেলে হলে আমি তাকে নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার কাছে নিয়ে এলাম, তখন নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি তার নাম রাখেন ইবরাহীম এবং তাকে তাহনীক করান খেজুর দিয়ে। {সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৫৭৩৯, সুনানুল বায়হাকী কুবরা শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৯০৮৮, মুসনাদে আহমাদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৯৫৭০, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা শরীফ, হাদীস শরীফ নং-২৩৯৪৮}
عن سمرة بن جندب أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال « كل غلام رهينة بعقيقته تذبح عنه يوم سابعه ويحلق ويسمى
হযরত সামুরা বিন জুনদুব রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মোবারক করেছেনঃ-প্রত্যেক বালকের পক্ষ থেকে আক্বিকা হল বন্ধক স্বরূপ, যা তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে জবাই করবে, এবং তার মাথা মুন্ডাবে, এবং তার নাম রাখবে। {সুনানে আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং-২৮৪০, সুনানে বায়হাকী কুবরা শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৯০৪৭, সুনানে দারেমী শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৯৬৯, মুসনাদে আহমাদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং-২০০৮৩}
عَنْ أُمِّ كُرْزٍ الْكَعْبِيَّةِ قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ « عَنِ الْغُلاَمِ شَاتَانِ مُكَافِئَتَانِ وَعَنِ الْجَارِيَةِ شَاةٌ
উম্মে কুরযিল কা’বিয়্যাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন আমি নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি যে, ছেলের জন্য দু’টি একইমানের বকরী ও মেয়ের জন্যে একটি বকরী [আক্বিকা দিবে]। {সুনানে আবু দাউদ শরীফ, হাদীস শরীফ নং-২৮৩৬, সুনানে তিরমিযী শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৫১৩, সুনানে দারেমী শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৯৬৬, সহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৫৩১৩, মুসনাদে আবী ইয়ালা শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৪৬৪৮, মুসনাদে ইসহাক বিন রাহহুয়া শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১২৯০}
عن أم كرز قالت قالت امرأة من أهل عبد الرحمن بن أبي بكر إن ولدت امرأة عبد الرحمن غلاما نحرنا عنه جزورا فقالت عائشة : لا بل السنة عن الغلام شاتان مكافئتان وعن الجارية شاة يطبخ جدولا ولا يكسر لها عظم فيأكل ويطعم ويتصدق يفعل ذلك في اليوم السابع فإن لم يفعل ففي أربع عشرة فإن لم يفعل ففي إحدى وعشرين
হযরত উম্মে কুরজ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, আব্দুর রহমান বিন আবী বকর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনুহু উনার পরিবারের এক মহিলা বলেন, আব্দুর রহমান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার স্ত্রী ছেলে সন্তান প্রসব করেন, তখন আমরা উনার পক্ষ থেকে একটি ভেড়া জবাই করেছি। তখন হযরত সিদ্দিকা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন-এমনটি নয়, বরং পদ্ধতি হলো-ছেলের জন্যে দু’টি সমান পর্যায়ের বকরী আর মেয়ের জন্যে একটি বকরী দিবে [আক্বিকা]। তারপর এটিকে রান্না করবে, তবে এর হাড্ডিকে ভাঙ্গবে না। তারপর তা নিজে খাবে, অন্যকে খাওয়াবে, এবং দান করবে। এই কাজগুলো করবে সপ্তম দিন, সেদিন সক্ষম না হলে চৌদ্দতম দিন, সেদিনও সক্ষম না হলে একুশতম দিন আক্বিকা করবে । [মুসনাদে ইসহাক বিন রাহহুয়া শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১২৯২}
عن جعفر بن محمد عن أبيه أنه قال وزنت فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم شعر حسن وحسين وزينب وأم كلثوم فتصدقت بزنة ذلك فضة
হযরত যাফর বিন মুহাম্মদ উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, উনার পিতা বলেছেনঃ নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি হযরত যাহ্‌রা আলাইহাস সালাম, হযরত হাসান আলাইহিস সালাম, হযরত হুসাইন আলাইহিস সালাম, হযরত জয়নব ও উম্মে কুলসুম আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সকলের চুল মোবারক ওজন করে সে পরিমাণ রোপা সদকা করে দিয়েছেন। {মুয়াত্তা মালিক শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৮৩৯, শুয়াবুল ঈমান শরীফ, হাদীস শরীফ নং-৮২৬২, সুনানে বায়হাকী কুবরা শরীফ, হাদীস শরীফ নং-১৯০৭৯}
পরিশেষে একটি কথাই বলবো মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের নেক আওলাদ দান করুন ছেলে হোক বা মেয়ে হোক আমরা যেনো তাদের পবিত্র কোরআন সুন্নাহ উনাদের হুকুম অনুসারে লালন পালন করতে পারি এই তৌফিক দেন এবং আক্বিকা সহ যাবতিও কর্ম সম্পাদনের তৌফিক দেন। আমিন।

ইসলামে ধুমপান করা অনুমোদিত কি না???

ইসলামে ধুমপান করা অনুমোদিত কি না???

উত্তর: ডা. জাকির নায়েক:-
ইসলামে ধুমপান অনুমোদিত কি-না এ বিষয়ে
বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ফতোয়া দিয়েছেন ।
পূর্ববর্তি আলেমরা সে সময়ের জ্ঞানের
আলোকে বলেছেন , এটা মাকরুহ । এখন
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে বিশেষজ্ঞদের
মতামতটাও পরিবর্তিত হয়েছে ।
কেননা আল কোরআনের সূরা বাক্বারার ১৯৫ নং
আয়াতে আল্লাহ বলেছেন
"তোমরা নিজের হাতে নিজেদের ধ্বংসের মুখে
নিক্ষেপ করো না"
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে,
প্রতিবছর ধুমপানের কারনে ১০ লাখের বেশি
মানুষ মারা যায় । যারা ফুসফুসের ক্যান্সারে
মারা যায়, তাদের মধ্যে ৯০% হলো ধুমপান করার
কারনে । যারা ব্রংকাইটিসে মারা যায় তার
৭০% , হৃদরোগের কারনে যারা মারা যায় তার
২০% এর কারন হলো ধুমপান । এ ধুমপান আস্তে
আস্তে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে । সিগারেটের
মধ্যে থাকে ক্ষতিকর নিকোটিন এবং টরে।
সিগারেট শুধু ধূমপয়ীরই ক্ষতি করে না বরং তার
প্রতিবেশীরও ক্ষতি করে । বিভিন্ন গবেষনায়
দেখা গেছে , চেইন স্মোকারদের স্ত্রী দের
ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারন
একটিভ স্মোকিং তো ক্ষতিকারক বটেই প্যাসিভ
স্মোকিং আরও বেশি ক্ষতিকর । প্যাসিভ
স্মোকিং এ ধুমপায়ীর ধোঁয়াটা অপর ব্যক্তি
ফুসফুসে প্রবেশ করে।
ধুমপান করলে ধুমপানীয় ঠোঁট দাঁতের মাড়ি ,
আঙ্গুল কালো হয়ে যায় । গলায় ঘা হবে ,
পেপটিক আলসার হবে , কোষ্ঠকাঠিন্য হবে,
যৌনশক্তি কমে যাবে ,ক্ষুদা কমে যাবে ,
স্বাস্হ্য খারাপ হয়ে যাবে , এমনকি স্মৃতি-
শক্তিও কমে যাবে । এসব গবেষনার ওফর ভিত্তি
করে বর্তমানে আলেমরা ৪০০ এর ও বেশি ফতোয়া
দিয়েছেন যে ধুমপান করা হারাম।
তাই,
এটা কারও ভালো লাগুক বা না লাগুক, ইসলামে
এর অনুমতি নেই"
অনেক ছেলেকে যখন প্রশ্ন করি যে ধুমপান কর
কেন? তখন তারা বলে ইসলামে ধুমপান মাকরুহ
হারাম না
- তাদের জন্যে এই পোষ্ট যথেষ্ঠ নয় কি???

ইমামের সুন্দরী স্ত্রী এবং মাস্তান যুবক !

বাগদাদ শহরের ইমামের সুন্দরী স্ত্রী এবং মাস্তান যুবক !

বাগদাদ শহরের এক মসজিদের ইমামের স্ত্রী ছিল অত্যন্ত সুন্দরী, রূপসী এবং সুনয়না। স্থানীয় এক মাস্তান যুবক হঠাত একদিন ইমাম সাহেবের স্ত্রীকে দেখে তার প্রতি ভীষণ আসক্ত হয়ে পড়ে এবং এরপর রীতিমত তাকে বিরক্ত করতে থাকে ।
একদিন ইমাম সাহেবের বাড়িতে প্রবেশ করে যুবক বলল, হে সুন্দরী মহিলা!! আমি ইতিমধ্যে তোমার প্রতি খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছি। তাই আমার কামনা চরিতার্থ করার জন্য প্রস্তাব দিচ্ছি। তুমি কি আমার প্রস্তাবে রাজি?? মাস্তান যুবকের প্রস্তাব শুনে মহিলা ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেলেন।
রাতে ইমাম সাহেব ঘরে ফিরলে তিনি তার কাছে যুবকের কথা বর্ণনা করলেন। ইমাম সাহেব বললেন, তুমি রাজি হয়ে যাও!! তবে একটা শর্তে, শর্তটা হলঃ “যদি যুবক একটানা চল্লিশ দিন প্রথম তাকবীরের সহিত জামায়াতের সাথে আমার মসজিদে সালাত আদায় করতে পারে তবেই তুমি রাজি হবে”।
পরের দিন যুবক এসে মহিলাকে জিজ্ঞেস করল, আমার প্রস্তাবের ব্যাপারে তোমার মত কি??
মহিলা বললেন একটি শর্ত আছেঃ যদি তুমি শর্ত পূরণ করতে পার তবে আমি রাজি। তখন যুবক বলল কি শর্ত?? মহিলা বলল শর্তটি হচ্ছেঃ “বিরতি না দিয়ে একটানা চল্লিশ দিন প্রথম তাকবীরের সহিত জামায়াতে সালাত আদায় করতে হবে”। যুবক বলল, এটাতো সহজ শর্ত এরচেয়ে কঠিন শর্ত দিলেও আমি রাজি হতাম।
যুবক পরদিন ওযু করে সুন্দর পোশাক পড়ে সালাত আদায় করতে আসলো। ইমাম সাহেব সালাতের পর মুনাজাত করে বললেন, “হে আল্লাহ! এক পথহারা যুবককে তোমার দরবারে এনেছি, এখন পথ প্রদর্শনের মালিক তুমি “।
যুবক শর্ত মোতাবেক জামায়াতের সাথে সালাত আদায় করে যাচ্ছে, ফজরের পর জোহরের জন্য অপেক্ষা করে, জোহরের পর আছর, এরপর মাগরিব, এরপর এশা। কোন বিরতি নেই।
অতঃপর এভাবে যেদিন একটানা চল্লিশ দিন পার হলো সেদিন যুবক ইমাম সাহেবকে জড়িয়ে কেঁদে ওঠলো এবং বলল, আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমি অন্ধকারে ছিলাম আল্লাহপাক আমাকে আলোর পথ দান করেছেন, আল্লাহ আমাকে হেদায়েত দান করেছেন।
আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দিন। তখন ইমাম সাহেব যুবককে সাথে নিয়ে আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করলেন, “হে আমাদের পালনকর্তা, সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে আর কঠিন করে দিওনা এবং তুমি আমাদের করুনা দান কর, তুমিই মহাদাতা অসীম করুনার আধাঁর”। সূরাঃ আল-ইমরান , আয়াতঃ ৮
“যথাযথ ভাবে সালাত আদায় কর, নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরনই সর্বশেষ্ঠ। তোমরা যা কর তা আল্লাহ অবগত”। সূরাঃ আনকাবুত, আয়াতঃ ৪৫।