বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০১৫

তওবা কিভাবে করতে হবে?

তওবা কিভাবে করতে হবে?
=========================
তওবা করার জন্য জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে,
তাহলেই আল্লাহ তাআ'লা সেই তওবা কবুল করবেন।
.
১.~~~ পাপ কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এখন শুধু মুখে মুখে
তওবা করে নেই, কয়েকদিন পর থেকে পাপ কাজটা
ছেড়ে দেবো – এরকম হলে তওবা কবুল হবেনা।
.
২.~~~ অতীতের সমস্ত পাপ কাজ ও ভুল ত্রুটি আল্লাহর
কাছে স্বীকার করে তাঁর কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩.~~~ অন্তরে ঐ কাজগুলোর প্রতি ঘৃণা রেখে সেইগুলোতে
আর ফিরে না যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে। তবে
কসম করবেন না, কসম না করে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করবেন।
.
৪.~~~ লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে
সমস্ত গুনাহ-খাতার জন্য “ইস্তিগফার” করতে হবে ।
.
৫.~~~ কারো হক্ক নষ্ট করে থাকলে যে ভাবেই হোক তাকে তার
পাওনা ফিরিয়ে দিতে হবে, সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে,
ক্ষমা চেয়ে তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে।
.
৬.~~~ অন্তরে আশা রাখতে হবে যে, আমি গুনাহগার কিন্তু
আল্লাহ গাফুরুর রাহীম – অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং
আমি যতবড় গুনাহগার হয়ে থাকিনা কেনো, তিনি আমার তওবা
কবুল করবেন ইন শা’ আল্লাহ।
.
৭. ~~~তওবা করার পরে প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে পাপ কাজ
থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে, এবং সাধ্য অনুযায়ী বেশি
বেশি করে নেকীর কাজ করার জন্য।
.
৮.~~~ যে পাপ কাজ থেকে তওবা করা হলো
(সমস্ত পাপ কাজ থেকেই তওবা করা ফরয),
কোনো ভুলে বা কুপ্রবৃত্তির কারণে পাপ কাজটা আবার
করে ফেললে সাথে সাথে আবার তওবা করে সেটা থেকে
ফিরে আসতে হবে। এইভাবে যখনই কোনো পাপ কাজ সংঘটিত
হবে, সাথে সাথেই তওবা করতে হবে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত।
.
৯.~~~ কারো তওবা কবুল হয়েছে কিনা এটা কিভাবে বুঝবেন?
অনেক আলেম এ সম্পর্কে বলেনঃ কারো যদি তওবা করার
পরের জীবন আগের জীবন থেকে ভালো হয় অর্থাত পাপের
কাজ অনেক কমে যায় ও ভালো কাজ বৃদ্ধি পায় তাহলে আশা
করা যেতে পারে – তার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে
।!!
আয়াত পড়ে ভাল করে বুঝার চেষ্টা করুন।
.
সূরা আন নিসা:137 - যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।
সূরা আন নিসা:138 - সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
.
সূরা আন নিসা:139 - যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।
.
সূরা আন নিসা:143 - এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকেও নয় ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন, তুমি তাদের জন্য কোন পথই পাবে না কোথাও।
.
সূরা আন নিসা:144 - হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?
.
সূরা আন নিসা:145 - নিঃসন্দেহে মুনাফেকরা রয়েছে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না।
.
সূরা আন নিসা:146 - অবশ্য যারা তওবা করে নিয়েছে, নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে এবং আল্লাহর পথকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর ফরমাবরদার হয়েছে, তারা থাকবে মুসলমানদেরই সাথে। বস্তুতঃ আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারগণকে মহাপূণ্য দান করবেন।
.
সূরা আত-তাহরীম:8 - মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।
.
.
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।
কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে
অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে
না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
.
আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন,
যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও
ভয় করে এবং নামায কায়েম করে।
.
যে কেউ নিজের সংশোধন করে,
সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের
জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।( সূরা ফাতির:18 -
.
সুরা ত্বোয়া-হা:82 - আর যে তওবা করে, ঈমান
আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল
থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল।

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

জেনে নিন আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত

জেনে নিন আয়াতুল কুরসি পড়ার ফজিলত:.১.আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকেবের হলে ৭0,000 ফেরেস্তা চর্তুদিকথেকে তাকে রক্ষা করে।.২.এটি পড়ে বাড়ি ঢুকলে বাড়িতেদারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা।.৩ এটি পড়ে ঘুমালে সারারাত একজনফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।.৪ ফরজ নামাযের পর পড়লে তারআর বেহেস্তের মধ্য একটিজিনিসেরই দূরত্ব থাকে; তা হলোমৃত্য। এবং মৃত্য আযাব এতই হালকাহয়; যেন একটি পিপড়ার কামড়।.৫.ওজুর পর পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি লাভ করে।


রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৫

অন্ধকার ঐ কবরে

মনে করুন, আপনি এখন
মারা গেছেন।
আপনার প্রিয়জন সবাই আপনার
লাশের
পাশে বসে কাঁদছে।
কিছু লোক গিয়েছে আপনার কবর
তৈরি করতে।
কিছু লোক গিয়েছে কাফনের
কাপড় আনতে।
কিছু লোক লাশকে ঘর
থেকে বের করে আনছে।
কেউ গিয়েছে গরম পানি করতে।
এবার আপনার লাশটাকে গোসল
করাচ্ছে কিছু লোক।
এবার লাশকে কাফনের কাপর
পরাচ্ছে।
এখন খাটিয়ার উপর
আপনার লাশটাকে রাখা হলো।
চারজন লোক খাটিয়া উচু
করলো এবং জানাযার
মাঠে নিয়ে গেল।
জানাযা শেষে এবার কবরের
দিকে নিয়ে গেল।
এবার কিছু লোক
কবরে নামলো এবং আপনার লাশ
কবরে রাখল।
এরপর বাঁশের চালি দিল।
এবার মাটি দিয়ে সবাই
চলে গেল।
চোখটা বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন
অন্ধকার ঐ
কবরে আপনি একা।
এটাই চিরন্তন সত্য।
ইয়া আল্লহ আমাদের
সবাইকে মৃত্যুর
কথা চিন্তা করে বেশি বেশি নেক
আমল করার তৌফিক দান করুন।
~(''আমিন'')~

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৫

Safa Marowa Hajj Travels


বেপর্দা যুবতী মেয়েদের



বেপর্দা যুবতী মেয়েদের সম্পর্কে এই পোষ্ট লিখা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ সবাই শেয়ার করে বেপর্দা মেয়েদের জানিয়ে দিবেন
.
পৃথিবীতে যেসব জিনিস মূল্যবান তা সহজে দেখা যায় না, বের করা যায় না এবং পাওয়া যায় না।
১/ তোমরা কি জানো স্বর্ণ কোথায় থাকে ? মাটির অনেক গভীরে খনির ভেতর, প্রস্তরের কয়েক টি লেয়ারের নিচে।
২/ তোমরা কি জানো হিরা কোথায় থাকে ? মাটির অনেক গভীরে এবং অনেক ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে খনন করে বের করতে হয়।
৩/ তোমরা কি জানো মুক্তা কোথায় থাকে ? সমুদ্রের তলদেশে এবং তা চমৎকার একটা ঝিনুক শেলের মধ্যে রক্ষিত অবস্থায় থাকে ।
.
তোমাদের দেহ স্বর্ণ, হিরা, মুক্তা তার চেয়েও বেশি মূল্যবান তোমাদেরও তা মানুষের নাগালের বাইরে রাখা উচিৎ ।
.
সে আরো বললো তোমরা যদি ঠিক স্বর্ণ, হিরা, মুক্তার মতো মাইনিং ট্রেজার হিসাবে কভারড আপ করে রাখো তাহলে অনেক বড় বড় মানিং কম্পানি (ভালো ছেলে ও তার পরিবার) তাদের ভারি ভারি যন্ত্রপাতি নিয়ে সরকারের ( তোমাদের পরিবার ) কাছে ঘুরে ঘুরে চুক্তিতে সাইন করবে (বিবাহ)।
.
কিন্তু তোমরা যদি তোমাদের মূল্যবান সম্পদকে পৃথিবী পৃষ্ঠে ছুড়ে ফেলো কিংবা যত্ন করে না রাখো তাহলে অনেক অবৈধ কম্পানি কে আকর্ষণ করবে এবং তারা এসে তাদের ধারালো যন্ত্রপাতি দিয়ে ফ্রি ফ্রি ছুটিয়ে ছুটিয়ে নিয়ে যাবে, যোগ্য না হয়েও তা ভোগ করবে এবং তোমরা তোমাদের সম্পদের কোনো মূল্য পাবে না। নিজেকে মাইনিং ট্রেজার করে রাখলে প্রফেশনাল মাইনিং কম্পানি প্রকৃত মূল্য দিয়ে তোমার সরকারের কছে চুক্তিতে সাইন করবে এবং যথার্থ মূল্য ও সম্মান পাবে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৫

ইসলামে কন্যা সন্তান হওয়ার অসংখ্য ফজিলত


আমাদের প্রচলিত শিক্ষিত সমাজে এখনও অনেক পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম হওয়াকে ভাল চোখে দেখা হয় না। অনেকে আবার মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারলে কন্যা সন্তান মন থেকে খুশী হতে পারেন না বা মেনে নিতে পারেন না। আশাকরি আজ তাদের ভূল ভাঙ্গাতে পারব।
কন্যা সন্তান হওয়ার অসংখ্য ফজিলতের মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে –
আল্লাহ তা‘আলা তাদের সমালোচনা করেছেন পবিত্র কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে :
﴿وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِٱلۡأُنثَىٰ ظَلَّ وَجۡهُهُۥ مُسۡوَدّٗا وَهُوَ كَظِيمٞ ٥٨ يَتَوَٰرَىٰ مِنَ ٱلۡقَوۡمِ مِن سُوٓءِ مَا بُشِّرَ بِهِۦٓۚ أَيُمۡسِكُهُۥ عَلَىٰ هُونٍ أَمۡ يَدُسُّهُۥ فِي ٱلتُّرَابِۗ أَلَا سَآءَ مَا يَحۡكُمُونَ ٥٩﴾ [النحل:58-59]
‘আর যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়; তখন তার চেহারা কালো হয়ে যায়। আর সে থাকে দুঃখ ভারাক্রান্ত। তাকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছে, সে দুঃখে সে কওমের থেকে আত্মগোপন করে। আপমান সত্ত্বেও কি একে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে ফেলবে? জেনে রেখ, তারা যা ফয়সালা করে, তা কতই না মন্দ!’ {সূরা আন-নাহল : ৫৮-৫৯}
عَن أَنَسٍ رضي الله عنه، عَنِ النَّبيّ ﷺ، قَالَ: «مَنْ عَالَ جَارِيَتَيْن حَتَّى تَبْلُغَا جَاءَ يَوْمَ القِيَامَةِ أنَا وَهُوَ كَهَاتَيْنِ»وضَمَّ أصَابِعَهُ . رواه مسلم
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি দু’টি কন্যার লালন-পালন তাদের সাবালিকা হওয়া অবধি করবে কিয়ামতের দিন আমি এবং সে এ দু’টি আঙ্গুলের মত পাশাপাশি আসব।’’(অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুলগুলি মিলিত করে (দেখালেন)। [মুসলিম ২৬৩১, তিরমিযি ১৯১৪, আহমদ ১২০৮৯]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসূল (সা.) ইরশাদ করনে, যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করল,অতঃপর সে ঐ কন্যাকে কস্ঠ্ও দেয়নি,তার উপর অসন্তুস্ঠ্ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার উপর প্রধান্য দেয়নি,তাহলে ঐ কন্যার কারনে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবশে করাবেন।(মুসনাদে আহমদ ১;২২৩)
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿فَإِن كَرِهۡتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكۡرَهُواْ شَيۡ‍ٔٗا وَيَجۡعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيۡرٗا كَثِيرٗا ١٩ ﴾ [النس:]
‘আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে অনেক কল্যাণ রাখবেন।’ {সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৯}
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,”কন্যা সন্তান হল উত্তম সন্তান। কেননা,তারা হচ্ছে
অধিক গুনের অধিকারিনী বিনম্র ও মিস্ঠভাষী । এছাড়া তারা পিতা-মাতার সেবা শুশ্রষার জন্য সদাসর্বদা প্রস্তুত থাকে এবং তারা মায়া মমতাকারীনী,স্নেহময়ী,বিনয়ী ও বরকতময়ী।”(ফিরদাউস ৪;২৫৫)
আর প্রথম সন্তান মেয়ে হ্ওয়ার ফযীলত সম্পর্কে হাদীস নিম্নে উল্লেখ করা হল,
হযরত আব্দুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন,রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন,ঐ মহিলা বরকতময়ী ও সৌবাগ্যশালী,যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়।কেননা,(সন্তানদানের নিয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে )আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন,তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন।”(কানযুল উম্মাহ ১৬:৬১১)

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০১৫

ফজিলত

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, গরিব মুহাজিরগণ রাসূলের নিকট এসে বলে: সম্পদশালীরা তো তাদের সম্পদের মাধ্যমে মহান মর্যদা ও জান্নাতের মালিক হয়ে যাচ্ছে, তিনি বললেন: “কিভাবে?”
তারা বলল: আমরা যেরূপ সালাত আদায় করি, তারাও সেরূপ সালাত আদায় করে, আমরা যেরূপ সিয়াম পালন করি, তারাও সেরূপ সিয়াম পালন করে, তাদের অতিরিক্ত ফজিলত হচ্ছে তারা তাদের সম্পদ দ্বারা হজ করে, ওমরা করে, জিহাদ করে ও সদকা করে।
তিনি বললেন: “আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু শিক্ষা দেব, যার মাধ্যমে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের নাগাল পাবে ও পরবর্তীদের অতিক্রম করে যাবে, তোমাদের চেয়ে উত্তম কেউ হবে না, তবে যারা তোমাদের ন্যায় আমল করে তারা ব্যতীত?”
তারা বলল: অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল, তিনি বললেন: “তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর ৩৩বার তাসবিহ, ৩৩বার তাকবির ও ৩৩বার তাহমিদ পড়বে”। গরিব মুহাজিরগণ ফিরে এসে বলে, আমাদের সম্পদশালী ভাইয়েরা আমাদের আমল জেনে তারাও অনুরূপ আমল আরম্ভ করেছে, তিনি বললেন: “এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি দান করেন”।
বুখারি: (৮৪৩), মুসলিম: (৫৯৫)