তওবা কিভাবে করতে হবে?
=========================
তওবা করার জন্য জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে,
তাহলেই আল্লাহ তাআ'লা সেই তওবা কবুল করবেন।
.
১.~~~ পাপ কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এখন শুধু মুখে মুখে
তওবা করে নেই, কয়েকদিন পর থেকে পাপ কাজটা
ছেড়ে দেবো – এরকম হলে তওবা কবুল হবেনা।
.
২.~~~ অতীতের সমস্ত পাপ কাজ ও ভুল ত্রুটি আল্লাহর
কাছে স্বীকার করে তাঁর কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩.~~~ অন্তরে ঐ কাজগুলোর প্রতি ঘৃণা রেখে সেইগুলোতে
আর ফিরে না যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে। তবে
কসম করবেন না, কসম না করে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করবেন।
.
৪.~~~ লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে
সমস্ত গুনাহ-খাতার জন্য “ইস্তিগফার” করতে হবে ।
.
৫.~~~ কারো হক্ক নষ্ট করে থাকলে যে ভাবেই হোক তাকে তার
পাওনা ফিরিয়ে দিতে হবে, সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে,
ক্ষমা চেয়ে তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে।
.
৬.~~~ অন্তরে আশা রাখতে হবে যে, আমি গুনাহগার কিন্তু
আল্লাহ গাফুরুর রাহীম – অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং
আমি যতবড় গুনাহগার হয়ে থাকিনা কেনো, তিনি আমার তওবা
কবুল করবেন ইন শা’ আল্লাহ।
.
৭. ~~~তওবা করার পরে প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে পাপ কাজ
থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে, এবং সাধ্য অনুযায়ী বেশি
বেশি করে নেকীর কাজ করার জন্য।
.
৮.~~~ যে পাপ কাজ থেকে তওবা করা হলো
(সমস্ত পাপ কাজ থেকেই তওবা করা ফরয),
কোনো ভুলে বা কুপ্রবৃত্তির কারণে পাপ কাজটা আবার
করে ফেললে সাথে সাথে আবার তওবা করে সেটা থেকে
ফিরে আসতে হবে। এইভাবে যখনই কোনো পাপ কাজ সংঘটিত
হবে, সাথে সাথেই তওবা করতে হবে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত।
.
৯.~~~ কারো তওবা কবুল হয়েছে কিনা এটা কিভাবে বুঝবেন?
অনেক আলেম এ সম্পর্কে বলেনঃ কারো যদি তওবা করার
পরের জীবন আগের জীবন থেকে ভালো হয় অর্থাত পাপের
কাজ অনেক কমে যায় ও ভালো কাজ বৃদ্ধি পায় তাহলে আশা
করা যেতে পারে – তার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে
।!!
আয়াত পড়ে ভাল করে বুঝার চেষ্টা করুন।
.
সূরা আন নিসা:137 - যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।
সূরা আন নিসা:138 - সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
.
সূরা আন নিসা:139 - যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।
.
সূরা আন নিসা:143 - এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকেও নয় ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন, তুমি তাদের জন্য কোন পথই পাবে না কোথাও।
.
সূরা আন নিসা:144 - হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?
.
সূরা আন নিসা:145 - নিঃসন্দেহে মুনাফেকরা রয়েছে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না।
.
সূরা আন নিসা:146 - অবশ্য যারা তওবা করে নিয়েছে, নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে এবং আল্লাহর পথকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর ফরমাবরদার হয়েছে, তারা থাকবে মুসলমানদেরই সাথে। বস্তুতঃ আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারগণকে মহাপূণ্য দান করবেন।
.
সূরা আত-তাহরীম:8 - মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।
.
.
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।
কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে
অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে
না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
.
আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন,
যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও
ভয় করে এবং নামায কায়েম করে।
.
যে কেউ নিজের সংশোধন করে,
সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের
জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।( সূরা ফাতির:18 -
.
সুরা ত্বোয়া-হা:82 - আর যে তওবা করে, ঈমান
আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল
থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল।
=========================
তওবা করার জন্য জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে,
তাহলেই আল্লাহ তাআ'লা সেই তওবা কবুল করবেন।
.
১.~~~ পাপ কাজ করা বন্ধ করতে হবে। এখন শুধু মুখে মুখে
তওবা করে নেই, কয়েকদিন পর থেকে পাপ কাজটা
ছেড়ে দেবো – এরকম হলে তওবা কবুল হবেনা।
.
২.~~~ অতীতের সমস্ত পাপ কাজ ও ভুল ত্রুটি আল্লাহর
কাছে স্বীকার করে তাঁর কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩.~~~ অন্তরে ঐ কাজগুলোর প্রতি ঘৃণা রেখে সেইগুলোতে
আর ফিরে না যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করতে হবে। তবে
কসম করবেন না, কসম না করে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করবেন।
.
৪.~~~ লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে
সমস্ত গুনাহ-খাতার জন্য “ইস্তিগফার” করতে হবে ।
.
৫.~~~ কারো হক্ক নষ্ট করে থাকলে যে ভাবেই হোক তাকে তার
পাওনা ফিরিয়ে দিতে হবে, সামর্থ্য না থাকলে অনুরোধ করে,
ক্ষমা চেয়ে তার কাছ থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে।
.
৬.~~~ অন্তরে আশা রাখতে হবে যে, আমি গুনাহগার কিন্তু
আল্লাহ গাফুরুর রাহীম – অতীব ক্ষমাশীল ও দয়ালু। সুতরাং
আমি যতবড় গুনাহগার হয়ে থাকিনা কেনো, তিনি আমার তওবা
কবুল করবেন ইন শা’ আল্লাহ।
.
৭. ~~~তওবা করার পরে প্রাণপণে চেষ্টা করতে হবে পাপ কাজ
থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকতে, এবং সাধ্য অনুযায়ী বেশি
বেশি করে নেকীর কাজ করার জন্য।
.
৮.~~~ যে পাপ কাজ থেকে তওবা করা হলো
(সমস্ত পাপ কাজ থেকেই তওবা করা ফরয),
কোনো ভুলে বা কুপ্রবৃত্তির কারণে পাপ কাজটা আবার
করে ফেললে সাথে সাথে আবার তওবা করে সেটা থেকে
ফিরে আসতে হবে। এইভাবে যখনই কোনো পাপ কাজ সংঘটিত
হবে, সাথে সাথেই তওবা করতে হবে, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত।
.
৯.~~~ কারো তওবা কবুল হয়েছে কিনা এটা কিভাবে বুঝবেন?
অনেক আলেম এ সম্পর্কে বলেনঃ কারো যদি তওবা করার
পরের জীবন আগের জীবন থেকে ভালো হয় অর্থাত পাপের
কাজ অনেক কমে যায় ও ভালো কাজ বৃদ্ধি পায় তাহলে আশা
করা যেতে পারে – তার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে
।!!
আয়াত পড়ে ভাল করে বুঝার চেষ্টা করুন।
.
সূরা আন নিসা:137 - যারা একবার মুসলমান হয়ে পরে পুনরায় কাফের হয়ে গেছে, আবার মুসলমান হয়েছে এবং আবারো কাফের হয়েছে এবং কুফরীতেই উন্নতি লাভ করেছে, আল্লাহ তাদেরকে না কখনও ক্ষমা করবেন, না পথ দেখাবেন।
সূরা আন নিসা:138 - সেসব মুনাফেককে সুসংবাদ শুনিয়ে দিন যে, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
.
সূরা আন নিসা:139 - যারা মুসলমানদের বর্জন করে কাফেরদেরকে নিজেদের বন্ধু বানিয়ে নেয় এবং তাদেরই কাছে সম্মান প্রত্যাশা করে, অথচ যাবতীয় সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য।
.
সূরা আন নিসা:143 - এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকেও নয় ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন, তুমি তাদের জন্য কোন পথই পাবে না কোথাও।
.
সূরা আন নিসা:144 - হে ঈমানদারগণ! তোমরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানিও না মুসলমানদের বাদ দিয়ে। তোমরা কি এমনটি করে নিজের উপর আল্লাহর প্রকাশ্য দলীল কায়েম করে দেবে?
.
সূরা আন নিসা:145 - নিঃসন্দেহে মুনাফেকরা রয়েছে দোযখের সর্বনিম্ন স্তরে। আর তোমরা তাদের জন্য কোন সাহায্যকারী কখনও পাবে না।
.
সূরা আন নিসা:146 - অবশ্য যারা তওবা করে নিয়েছে, নিজেদের অবস্থার সংস্কার করেছে এবং আল্লাহর পথকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে আল্লাহর ফরমাবরদার হয়েছে, তারা থাকবে মুসলমানদেরই সাথে। বস্তুতঃ আল্লাহ শীঘ্রই ঈমানদারগণকে মহাপূণ্য দান করবেন।
.
সূরা আত-তাহরীম:8 - মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।
.
.
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।
কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে
অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে
না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
.
আপনি কেবল তাদেরকে সতর্ক করেন,
যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখেও
ভয় করে এবং নামায কায়েম করে।
.
যে কেউ নিজের সংশোধন করে,
সে সংশোধন করে, স্বীয় কল্যাণের
জন্যেই আল্লাহর নিকটই সকলের প্রত্যাবর্তন।( সূরা ফাতির:18 -
.
সুরা ত্বোয়া-হা:82 - আর যে তওবা করে, ঈমান
আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎপথে অটল
থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল।